Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিসিআইসি’র পরিচিতি

১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতি ২৭ নম্বর অধ্যাদেশের ১৯৭৬ সনের ২৫ নম্বর  সংশোধনী বলে ৩টি কর্পেোরেশন যথা- বাংলাদেশ সার, রসায়ন ও ভেষজ শিল্প কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কাগজ ও বোর্ড কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যানারীজ  কর্পোরেশন একীভূত করে ১লা জুলাই, ১৯৭৬ইং তারিখে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান এবং বোর্ড  অব ডিরেক্টর্স এর পরিচালকবৃন্দ সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত। প্রধান নির্বাহী হিসাবে চেয়ারম্যানকে সংস্থাটি পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সুষ্ঠ কার্য সম্পাদন কল্পে সংস্থার পরিচালনা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সংস্থার পরিচালক মন্ডলী, সচিব, বিভাগীয় প্রধান ও কারখানা প্রধানদেরকে ক্ষমতা প্রদান করে থাকেন। যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকি করে থাকেন। কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগকৃত একজন চেয়ারম্যান ও ৫ জন পরিচালক এর সমন্বয়ে গঠিত একটি বোর্ড অব ডিরেক্টরর্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিটি কারখানার জন্য রয়েছে আলাদা এন্টারপ্রাইজ বোর্ড/কোম্পানী বোর্ড। প্রতিটি এন্টারপ্রাইজ বোর্ড শিল্প মন্ত্রনালয়ের একজন প্রতিনিধি বোর্ডের পরিচালক হিসাবে নিয়োজিত আছেন। সংশ্লিষ্ঠ কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকগন নিজ নিজ এন্টারপ্রাইজ বোর্ডের দিক নির্দেশনা ও তদারকির মাধ্যমে দৈনন্দিন কার্যাবলী পরিচালনা করে থাকেন।
 
উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত ৮৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে সংস্থার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৬টি নতুন কারখানা সংস্থা কর্তৃক স্থাপিত হয় এবং ৩টি কারখানা অন্য সংস্থা হতে বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রনাধীনে ন্যাস্ত হয়। সরকার বিরাষ্ট্রীয়করন নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে মোট ৯৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান হতে পূজি প্রত্যাহার করা হয়। ৭টি কারখানা প্রাক্তন মালিকের নিকট এবং ৭টি প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠান সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে বন্ধ করে জনবল পে-অফ করা হয়েছে। সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ নীতিমালার আওতায় ২০০২ সাল হতে ৮টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
 
ইউরিয়া ফার্টিলাইজরা ফ্যাক্টরি লিঃ এবং পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ কারখানা ২টির স্থানে আধুনিক প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বার্ষিক ৯,২৪,০০০ (নয় লক্ষ চব্বিশ হাজার) মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা ও জ্বালানি সাশ্রয়ী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে “ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প” শীর্ষক প্রকল্পটি ১২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রি. তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্ধোধন করা হয়। বর্তমানে কারখানার উৎপাদন চালু আছে। আধুনিক শিল্প প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিসিআইসি ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা,দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি তৈরি এবং শিল্পের নতুন নিয়োগকৃত ও কর্মরত কর্মীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান ও কারিগরি দক্ষতার স্তর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে পলাশ, নরসিংদীতে “ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (টিআইসিআই)” প্রতিষ্ঠা করা হয়।

 

বর্তমানে এ সংস্থার অধীনে ১১ টি চালু কারখানা আছে। চালু কারখানাসমূহের মধ্যে ৫টি ইউরিয়া সার কারখানা, ১টি ডিএপি সার কারখানা, ১টি টিএসপি সার কারখানা, ১টি কাগজ কারখানা, ১টি সিমেন্ট কারখানা, ১টি গ্লাসশীট কারখানা ও ১টি স্যানিটারীওয়্যার ও ইনসুলেটর কারখানা রয়েছে। বিসিআইসি’র উৎপাদিত  পন্যের মধ্যে ৮০% রাসায়নিক সার ; এর মধ্যে ৭০% ইউরিয়া সার ও ১০% অন্যান্য সার। তাছাড়া যৌথ অংশীদারিত্বে ১০টি কারখানা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে সারা দেশে কৃষকদের মাঝে সার বিতরনের মত স্পর্শকাতর বিষয়টি বিসিআইসি’র উপর ন্যাস্ত হয়। বিসিআইসি অত্যন্ত আস্তা এবং সফলতার সাথে এই গুরু দয়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।